নারীশক্তির গৌরবকে উদযাপন করতে কলকাতার আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে ১৫ ই জুন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “রেডওয়াইন বঙ্গনারী সম্মান”-এর চতুর্থ বর্ষ।
সমাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখা সাহসিনী, সৃষ্টিশীল ও সংগ্রামী বঙ্গনারীদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি জানানোর উদ্দেশ্যেই এই মহতী উদ্যোগ।
এই সন্ধ্যা, রূপ নেয় এক গৌরবোজ্জ্বল উৎসবে। উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুণী ব্যক্তিত্ব, প্রশাসনিক আধিকারিক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা।
এবারের সম্মানপ্রাপ্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন
পঞ্চালী মুন্শি (হালদার) – WBCS অফিসার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজস্ব বিভাগের যুগ্ম কমিশনার। এছাড়া অনামিকা সাহা – বাংলা চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী, যার অভিনয়ের দাপট একাধিক প্রজন্মকে মুগ্ধ করেছে। উপস্থিত ছিলেন শাশ্বতী গুহঠাকুরতা – টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় মুখ। স্বাগতালক্ষ্মী দাসগুপ্ত – শাস্ত্রীয় ও আধুনিক গানের সফল শিল্পী।
চৈতি ঘোষাল – নাট্য ও সিনেমা জগতের খ্যাতনামা অভিনেত্রী।
এছাড়াও সমাজকর্ম, শিক্ষা, সাহিত্য, চিকিৎসা ও উদ্যোক্তা জগতে অবদান রাখা আরও ১৩ জন বিশিষ্ট বঙ্গনারী সম্মানিত হন।
এই স্মরণীয় মুহূর্ত
অনামিকা সাহাকে সম্মান জানান যুগ্ম কমিশনার শ্রী অনুপম হালদার এবং বিশিষ্ট মডেল ও অভিনেত্রী সাথী সরকার। এই প্রসঙ্গে অনুপম হালদার বলেন -“একই মঞ্চে অনামিকা সাহার মতো কিংবদন্তি অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ানো আমার জীবনের এক বিশেষ মুহূর্ত।”
অন্যদিকে, একান্ত সাক্ষাৎকারে পঞ্চালী মুন্শি বলেন,
“সাধারণত বলা হয়, প্রতিটি সফল পুরুষের পেছনে একজন নারী থাকেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো। আমার স্বামী অনুপম হালদার আমার প্রেরণা ও সহযোদ্ধা। তাঁর অবিচল সমর্থনই আমাকে আজকের জায়গায় পৌঁছতে সাহায্য করেছে।”
সংস্কৃতির মেলবন্ধনে অনুষ্ঠান:
আলো, ছায়া, সংগীত ও নাট্যনির্ভর পরিবেশনায় গোটা অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল প্রাণের ছোঁয়া। বক্তব্য ও আবেগ মিশে উঠেছিল এক অভূতপূর্ব সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায়।
এই সন্মান — বাংলার নারীসমাজের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতির প্রতীক। নারীরা যে পরিবার নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে অদম্য শক্তি হয়ে উঠতে পারেন, এ অনুষ্ঠানে তা আবারও স্পষ্ট হল।
এই উজ্জ্বল প্রয়াস সত্যি নিঃসন্দেহে আগামী দিনে অনেক নারীর অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।