কালিন্দী নাট্যসৃজন এর ২৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে ১২ ফেব্রুয়ারি, একাডেমিতে তে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তাদের নবতম প্রযোজনা বহমান। নাটককার সৌমেন পাল। নির্দেশনায় বিল্বদল চট্টোপাধ্যায়। মহাকাব্যের উপেক্ষিত এক অধ্যায়ের মঞ্চায়ন হয় এই নাটকে। আপাতদৃষ্টিতে মহাকাব্যের গৌণ চরিত্র সত্যবতী কে এই নাটকে দেখা যায় মুখ্য ভূমিকায়। এই বহমান নাটকে মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের মূল কারণ অনুসন্ধান করা হয়। সত্যবতীর কপটতা, ধূর্ততায় ভ্রাতৃহত্যার ক্ষেত্র তৈরি হয় নাটকে। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলেও নিজের উদ্দেশ্য পূরণে সত্যবতী নানান কৌশল ও নির্মম পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। তবে মহাভারতের এই কাহিনীকে বর্তমান সময়োপযোগী করে উপস্থাপন করলো কালিন্দী নাট্যসৃজন। এখানেই সফল নির্দেশক। বিল্বদল চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, সত্যবতী কখনো সমাজের নিয়ম মানেননি। তিনি নানান কৌশলের দ্বারা ক্ষমতা ভোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আর্য রাজবংশ শাসন করার জন্য সবকিছু করেছিলেন’। এই ভাবনাই তাকে বহমান মঞ্চায়নে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
এই নাটকে দুই বয়সের সত্যবতীকে আমরা দেখি। ছোট সত্যবতী চরিত্রে আম্রপালি মিত্র, বড় সত্যবতী চরিত্রে মিনাক্ষী মুখার্জী, দাশরাজ বিল্বদল চট্টোপাধ্যায়, ভীষ্ম অরূপ দত্ত, ব্যাসদেব রণদীপ নন্দী, দূর্যোধন প্রতাপ মণ্ডল, অম্বিকা জুঁই বাগচী, কুন্তী শর্মিষ্ঠা বোস এবং অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অচিন্ত্য কুমার মজুমদার, অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন চক্রবর্তী প্রমুখ। মুরারী রায় চৌধুরীর আবহ এ নাটকে যোগ্য সঙ্গত করেছে।