৩০শে অক্টোবর ‘ভূত চতুর্দশী’-র সন্ধ্যায় সর্বসাধারণের জন্য উন্মোচিও হল ২৪ পল্লী চেতলা দশমহাবিদ্যার মাতৃমণ্ডপ ও মাতৃমূর্তি।
মাতৃমণ্ডপ ও দশমহাবিদ্যা-র প্রতিমাসকলের উদ্বোধনী মুহূর্তে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের অন্যতম সন্ন্যাসী স্বামী নির্মলানন্দ মহারাজ, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, বাচিক শিল্পী নন্দিনী লাহা, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ মন্ত্রকের অধীন রাজস্ব বিভাগের অন্যতম যুগ্ম আয়ুক্ত অনুপম হালদার সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে অনুপম হালদার আশা প্রকাশ করে বলেছেন, “আশা করব সমাজের সকল কলুষতা ও কালিমা মহাকালীর কালগহ্বরে বিলীন হয়ে গিয়ে সমাজ আবার সুস্থ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।”
অন্যদিকে গৌতম ঘোষ তাঁর নিজের বক্তব্যে জানিয়েছেন, “আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে, মনে রাখতে হবে নাস্তিকরাও কোনো এক বিশেষ মতে বিশ্বাস রাখেন, তাই আস্তিকদেরও বিশ্বাস হারালে চলবে না, নিজের ও সমাজের প্রতি তাদেরও বিশ্বাস রাখতে হবে। সম্ভবতঃ রামকৃষ্ণও বলে গেছেন ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’।”
পুজোর আয়োজকদের তরফে পিয়ালি ঘোষ জানিয়েছেন, “এই বছর ৪৬ বর্ষে পদার্পণ করল দশমহাবিদ্যার পুজো, যদিও এখানে ১১০ বছর ধরে চলে আসছে সর্বসাধারণের কালীপুজো।”