নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর পন্য নায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ওকে লাইফ কেয়ার

স্বাধীনতার এতদিন পরও দেশে বেকার সমস্যা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। ১৪০ কোটি মানুষের বিদেশে লেখাপড়ায় যাঁরা প্রথম সারিতে তাঁদের জীবিকা সহজে হাতের মুঠোয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষের আর্থিক, পারিপার্শিক অথবা মেধাগত সামর্থের সীমাবদ্ধতায় চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সঙ্গী হচ্ছে হতাশা জীবনযুদ্ধে এক অসহনীয় অবস্থা। প্রয়োজনীয় কর্ম সংস্থানের জন্য চাকরির ব্যবস্থা বিসম্ভব নয়। বিকল্প ব্যবস্থার কথা যুক্তিপূর্ণ মন দিয়ে ভাবতে হবে। একটু বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ একটু সময় দিয়ে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রছাত্রী,গৃহবধূ তো বটেই অন্যান্য পেশায় থেকেও অতিরিক্ত আয় করে একটু অতিরিক্ত সচ্ছল হওয়া অসম্ভব নয়। বক্সিং খেলায় পারদর্শী সাথে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড: যোগিন্দর সিং নিজের প্রচেষ্টায় পাঞ্জাব , হরিয়ানায় গড়ে তুলেছেন উচ্চমাধ্যমিক স্তর থেকে স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত গড়ে তুলেছেন অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার শেষে চাকরির তত্বতালাস না করে নিজের ওপর আস্থা রেখে উৎপাদকের কাছথেকে গুণগত মানে সেরা নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সরাসরি উৎপাদকের হাত থেকে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা রচনা করেন।

আজ ভারত জুড়ে ও কে লাইফ কেয়ার প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা করছে। এককথায় যা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। গুণমানে সেরা কিছু স্বাস্থ্যকর পণ্য ন্যায্য দামে উৎপাদকের কাছ থেকে নিয়ে সরাসরি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে এই প্রকল্পে। ২০১৬ সালে যে উদ্যোগের পথচলা আজ তার ব্যাপ্তি ঘটেছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। ১৮ই ফেব্রুয়ারী দুপুরে কলকাতার উপকন্ঠে সিটিসেন্টার ওয়ানের এক ব্যাঙ্কয়েটে অনুষ্ঠিত হল লিডারশিপ এন্টারপ্রেনর প্রোগ্রাম। ইতিমধ্যে যাঁরা এই উদ্যোগে জড়িত হয়ে সাফল্যের দরজায় কড়া নেড়েছেন তাঁদের স্বীকৃতি জানানো হলো অনুষ্ঠানে। জীবনের লড়াইয়ে নিজেকে সময়পযোগী করে গড়ে তোলার পাঠ নিয়ে এক অসাধ্য সাধনের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব। মানসিক দৃঢ়তাকে সঙ্গী করে প্রত্যেকটা মানুষ নিজের দৈনন্দিন জীবনের আর্থিক, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে পারেন।

সংস্থার সহযোগী দুই ব্যক্তিত্ব পরিচালক দীপ চ্যাটার্জি ও শ্রীমতী কৃষ্ণা চ্যাটার্জি বলেন, নেটওয়ার্কিং এই ব্যবসায় আমরা স্বাস্থ্যকর কিছু পণ্য সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্রত নিয়েছি। এবং তাঁদের উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে সঠিক কর্মস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। আমাদের সম্পদ আমাদের অসংখ্য ভাইবোনেরা। খাঁটি ও নিরাপদ পণ্য মধ্যস্থতাকারীদের উপস্থিতি ছাড়াও এক বিশালসংখ্যক মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের আস্থাকে সম্মান জানিয়ে। সংস্থার ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে যোগসূত্র তৈরিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অরবিন্দ আগরওয়াল জানান , অদম্য ইচ্ছা ও প্রাণশক্তি থাকলে জীবনে স্বচ্ছলতা আনা কোনো কঠিন কাজ নয়। ক্রেতার সন্তুষ্টি ও পণ্যের গুণগত মানের বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক ধারণা জীবনে সাফল্য এনে দেয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের সিনে সাম্রাজ্যের নায়িকা মেঘনা চৌধুরী জানালেন, আমি নিজে এই সংস্থার পণ্য ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছি। আমি চাই বাংলার , মা, বোনরা নিজেদের অবসর সময় থেকে কিছুটা সময় নিয়মিত দিলে বাড়তি রোজগার শুধু সংসারের উপকারে লাগবে তা নয়, নিজের উপার্জনের যে তৃপ্তি সেটা উপলব্ধি করার সুযোগ পাবেন। সুতরাং শুধু বেকার নন, গৃহবধূ নন যাঁরা অন্য ব্যবসা বা চাকরিতে আছেন তারাও একটু সময় দিলে বাড়তি আয়ের সুযোগ পাবেন! বাড়তি আয় মানে বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্য। এদিনের অনুষ্ঠানে সফল উদ্যোগীদের উপস্থিতির হার ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।