রামনবমীতে দুর্গাপূজার খুঁটি পুজো সারলো দমদম পার্ক তরুণ সংঘ

দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘের দুর্গাপুজোর খ্যাতি সারা বাংলা জুড়ে। কলকাতার অন্যতম আকর্ষণীয় পুজো হল দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘের পুজো। নতুন নতুন ভাবনা দিয়ে মণ্ডপ সজ্জা সেইসাথে মা দুর্গার অসাধারণ মূর্তি বাঙালি সমাজে কে চমকিত করে দেয়। পুজো শুরু হতে বহু মাস বাকি তা সত্ত্বেও রাম নবমীর দিনটি বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ এই দিনেই পুরুষোত্তম রাম চন্দ্র বাসন্তী পুজোর নবমীর দিনটি উদযাপন করেছিলেন বলে  আমরাও আমাদের পুজোর শুভ সূচনা করলাম বলে জানালেন পুজো কমিটির অন্যতম সম্পাদক সায়ন্তন কাঞ্জিলাল। এই পুজো কমিটির এবারের থিম মুক্তধারা। এদিনই ছিল খুঁটি পুজো ও পুজোর প্রচ্ছদ উন্মোচন। দমদম পার্ক তরুণ সংঘের দুর্গাপুজো এই বছর ৩৯ তম বর্ষে পদার্পন করলো।।

খুঁটি পুজোর উদ্বোধন এবং প্রচ্ছদ উন্মোচন করেন এলাকার বিধায়ক ও রাজ্যের অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী সুজিত বসু। এবারের থিম নির্মাণের দায়িত্বে অনির্বান দাস। খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি রবিন গাঙ্গুলি। সম্পাদক মন্ডলীর তিন সদস্য সুনন্দ মিত্র, সায়ন্তন কাঞ্জিলাল এবং সৌর ঘোষ। কার্যকারী সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবী প্রসাদ চ্যাটার্জি। এদিনের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কল্যাণ রুদ্র, ফুটবলার তরুণ বসু এবং রনেন রায়। ছিলেন অঙ্কনশিল্পী দুইবারের গিনিজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জয়ী শুভদীপ চ্যাটার্জি। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এর সকল সদস্যবৃন্দ এদিন সংবর্ধিত হন এবং বক্তব্য রাখেন। অন্যান্য পুজো কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ সকল অতিথিগণ এই পূজো কমিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। সুজিত বাবু তার বক্তব্যে বলেন এই অঞ্চলের গর্ব দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘের পুজো। আমরা সবাই দুর্গাপূজো করলেও এখনো পর্যন্ত পুজো নিয়ে কিছুই ভেবে উঠতে পারিনি অথচ এমন একটা দিনে এই খুঁটি পুজোর আয়োজন করলো যেদিন স্বয়ং রামচন্দ্র বাসন্তী পুজো করে ছিলেন। রাম নবমীর পূণ্য তিথিতে খুঁটি পুজোর ভাবনা এক কথায় অসাধারণ বলা চলে। এই রাজ্যের আমাদের সকল পূজো কমিটির থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেল দমদম পার্ক তরুণ সংঘ। খুঁটি পুজোর দিনে পুজো কমিটির সদস্যরা অসাধারণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন। পুরুষ সদস্যদের সাথে মহিলা সদস্যদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলে এই পুজোকে প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ জানাতে হয়। খুঁটি পুজোর একদিকে ছিল সানাই বাদন অন্যদিকে ঘুরে ঘুরে আদিবাসী নৃত্য সেইসাথে আতস বাজির আলোর রোশনাই।  এই সুন্দর দৃশ্য দেখে উপস্থিত সকলের মন ভরে গেল। সবশেষে ছিল বাঙালির মন পসন্দ ভুরিভোজ।