১০ ও ১১ই জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলকাতাস্থিত বেলগাছিয়া ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হল প্রাণী চিকিৎসকদের ৫১তম পুনর্মিলন উৎসব ও জাতীয় আলোচনা চক্র। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দুইদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বেঙ্গল ভেটেরিনারি কলেজ (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়), প্রাণী চিকিৎসা ও প্রাণীবিজ্ঞান অনুষদ (বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে উত্তীর্ণ এবং ভারতবর্ষ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের নানা সংস্থায় কর্মরত প্রায় সহস্রাতিক প্রাণীচিকিৎসক, অবসরপ্রাপ্ত প্রাণীচিকিৎসক, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।

পুনর্মিলন উৎসবকে বিজ্ঞানসম্মত ও প্রাণিবিজ্ঞানের দ্বারা সামাজিক উন্নয়নের নীতি নির্ধারণ ও প্রণয়ন করার লক্ষ্যে একটি ‘প্রাণিবিজ্ঞান তথা পোল্ট্রি শিল্পে অনুজীব প্রতিরোধী প্রতিবন্ধকতার ভূমিকা’ শীর্ষক বিষয় নিয়ে এক দিবসীয় একটি জাতীয় আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। এই জাতীয় আলোচনাচক্রে, সমগ্র ভারতবর্ষ এবং বিদেশের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী, বেসরকারি উদ্যোগী ও প্রগতিশীল প্রাণিপালক বন্ধুরা উপস্থিত থেকে তাদের মূল্যবান মতামত বিনিময় করেন। এই আলোচনা থেকে উদ্ভূত গবাদি পশু-পাখির উৎপাদন ও বাজারীকরণের উন্নয়ন ভিত্তিক মূল্যবান পরামর্শ ও প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে পাঠানো হবে যার সঠিক ভাবে প্রণয়ন গ্রামীন আর্থসামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক তথা প্রাক্তনী ড: সৌরভ চন্দ্র জানান, “আমরা প্রতিবছর নিয়মিত পুনর্মিলন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকি। পুনর্মিলনের মাধ্যমে সকল প্রক্তনীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। পেশাগত সমৃদ্ধি ঘটে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আদানপ্রদানে”।
১০ই জানুয়ারি এই ৫১ তম পুনর্মিলন উৎসবের উদ্বোধন করেন মাননীয় শ্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, মৎস্য দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এছাড়া সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শ্যামসুন্দর দানা, জেআইএস গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার সর্দার অমৃক সিং।

এই পুনর্মিলন উৎসবের দ্বিতীয় দিনে প্রাণীর চিকিৎসকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিতর্ক সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা, ছাত্র-শিক্ষক ও চিকিৎসকদের মধ্যে ক্রিকেট ও ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং তৎসহ মনোজ্ঞ সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এই বিজ্ঞানভিত্তিক উৎসবে বিভিন্ন প্রাণীচিকিৎসা বিষয়ক-ঔষধ, খাদ্য ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য প্রদর্শনী নিয়ে হাজির হয়েছে।