কল্যাণী নান্দনিক ৪৩ বছরের নাট্যদল। গত এপ্রিলে তিন দিনব্যাপী কল্যাণীর ঋত্বিক সদনে বার্ষিক নাট্যোৎসবের আয়োজন করার পর এবার তারা আয়োজন করেছিলেন নাট্য কর্মশালার। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় এবং কল্যাণী নান্দনিকের আয়োজনে ১০ ও ১১ জুন দুদিন ব্যাপী কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নাট্য প্রশিক্ষণ শিবির।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন দিল্লি জাতীয় নাট্য বিদ্যালয়ের (NSD) প্রাক্তনী অদ্রিজা দাশগুপ্ত। তিনি জানালেন, ‘নাটকের কর্মশালা নিয়ে অনেক কথা হয়। কেন প্রয়োজন, এ বিষয়ে অনেকে জিজ্ঞাসাও করেন। আমি বলি অভিনয় আসলে ফল। আপনি যা দেখলেন , ভাবলেন, চর্চা করলেন সেটা থিয়েটারে বা অভিনয়ে প্রকাশ পেল। থিয়েটারে যখন একজন সহ অভিনেতার সঙ্গে সংলাপ বিনিময় হয় অনেকগুলো বিষয় থাকে যেমন শরীরী ভাষা, দেহের অবস্থান, চাহনি, কতটা পারস্পরিক বিনিময় হচ্ছে এরকম অনেক কিছু। সংলাপ বললেই চলবে না, কিভাবে বলছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ? যেমন চিৎকার করে বলছে, নামিয়ে বলছে, নাকি খাদে বলছে? এই সমস্ত বিষয়টা একজনকে গান থেকে, মুভমেন্ট থেকে, নাচ থেকে কিংবা কবিতা থেকে হোক সবটা বলে বলে অভ্যেস করতে হয়। সেটার পদ্ধতি বা কৌশল আমি এই নাট্য কর্মশালায় শেখালাম। কিন্তু দুদিনে তো সবটা বলা যায় না, বলা সম্ভবও নয়। তাও চেষ্টা করলাম নানান ভাবে সেই কৌশল কিছুটা শিখিয়ে দেওয়ার’।
কল্যাণী নান্দনিকের পরিচালক কাজল মহান্তি জানালেন, ‘আমরা যখন সোশ্যাল মাধ্যমে জানাই এই নাট্য কর্মশালা হবে, চল্লিশ জনের ওপর মানুষ আবেদন করেছিল। কিন্তু বেশি জনকে আমরা নিতে পারিনি, কারণ অদ্রিজা দাশগুপ্ত বলেছিলেন কুড়ি জনের বেশি নেওয়া যাবে না। তাই এই কজন শিক্ষার্থী নিয়েই আয়োজন করা হয়েছিল এই নাট্য কর্মশালার’।