ইন্টারন্যাশনাল বেদান্ত সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী ভগবানজির স্মৃতির উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হল ধর্মসভা ও সাধু ভান্ডারা

৭ই জুন ইন্টারন্যাশনাল বেদান্ত সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী ভগবানজির স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি ধর্মসভা ও সাধু ভান্ডারার আয়োজন করা হয়। প্রসঙ্গত গত ২৭শে মে শনিবার ইন্টারন্যাশনাল বেদান্ত সোসাইটির প্রাণপুরুষ ও উপাস্য শ্রীশ্রী ভগবানজি মহা সমাধিতে লীন হয়েছেন।

সাধু ভান্ডারায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় শতাধিক সাধু

এই ধর্মসভা ও সাধু ভান্ডারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংঘের সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী বৃন্দ ও সংঘ জননী গুরুমা। ভারত ও ভারতের বাইরে থেকে আগত বহু অনুরাগী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। উপস্থিত ছিল বিভিন্ন আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানের সাধু সন্তগন। এই অনুষ্ঠানে ভগবানের স্মৃতিচারণ করেন ইন্টারন্যাশনাল বেদান্ত সোসাইটির স্বামী প্রবুদ্ধানন্দ ও স্বামী অচ্যুতানন্দ মহারাজ। এছাড়াও আধ্যাত্মিক আলোচনা করেন বিভিন্ন সংগঠনের সাধু সন্তরা। তাঁদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আলম বাজার মঠের স্বামী সারদাত্মানন্দ,মহানাম অঙ্গনের বন্ধু গৌরবজি। সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন স্বামী রামানন্দ ও কৃষ্ণনাম করেন স্বামী ভাস্করানন্দ। সমস্ত ভক্তরা এই মহামন্ত্র বা কৃষ্ণনামে মেতে ওঠেন। এর আগে স্বামী অচ্যুতানন্দ ভগবানের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন ভগবান তাঁর জীবনের প্রতিটি নিশ্বাস মানুষের কল্যাণের জন্যে ফেলেছেন। ভগবান যখন যেটা করেছেন সেটা সিরিয়াসলি করেছেন এবং নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। মানুষকেও তাই শিখিয়ে গেছেন। তাঁর জীবনের সব থেকে বড় দিক ছিল তাঁর অফুরন্ত প্রেম।তিনি সবাইকে ভালোবাসতেন, তাঁর প্রেম ছিল দুর্নিবার। তিনি সব গোপন করতে পারতেন কিন্তু তাঁর প্রেম গোপন করতে পারতেন না। তিনি বলতেন বর্তমান জগতের সব থেকে বড় সমস্যা এইডস কিংবা ক্যান্সার না,সবথেকে বড় সমস্যা প্রেমহীনতা। মানুষ ভালোবাসতে ভুলে গেছে। স্বামী প্রবুদ্ধানন্দ ভগবানের ভগবত ভাবের ব্যাখ্যা করেন।

ধর্মসভার পর সাধু ভান্ডার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ১০০ সাধু অংশগ্রহণ করে। সমস্ত ভক্তরা দারুন উৎসায়ের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে সাধু ভান্ডারা শুরু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *