স্কলারশিপ সহ আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে ওয়েবস্টার ইউনিভার্সিটি

আমেরিকায় গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করার স্বপ্ন দেখেন অনেক তরুণ-তরুণী। কারণ আমেরিকাযতে আছে পৃথিবীর সেরা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর তার সাথে তো আছেই ‘গ্রেট আমেরিকান ড্রিম’ এর চুম্বক টান! ভারতের নব প্রজন্মের অনেকের সাধ আমেরিকায় গিয়ে উচ্চ শিক্ষা নেওয়া ও সেদেশের মোটা বেতনের চাকরির বাজারে নিজের জায়গা পাকা করে নেওয়া। সেই সাধ পূরণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে আমেরিকার ১০৮ বছরের প্রাচীন বিখ্যাত ওয়েবস্টার ইউনিভার্সিটি।সোমবার বিকেলে কলকাতায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হলেন ওয়েবস্টার ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সম্রাট রায় চৌধুরী। দক্ষিণ কলকাতার আদি বাসিন্দা সম্রাট ছিলেন সাউথপয়েন্ট স্কুলের ছাত্র। উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনে বিদেশ যাত্রা। এই মুহূর্তে আমেরিকার ১০৮ বছরের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবস্টারের এক সম্মানীয় পদে আসীন। এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার।শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার । এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনো করে বহু ছাত্রছাত্রী জীবনের দিশা খুঁজে পেয়েছেন।

এডভেন্ট এডুকেশনের কর্ণধার অভিষেক দে সরকার (বামদিকে) ও ওয়েবস্টার ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সম্রাট রায়চৌধুরী

সম্রাট রায়চৌধুরী জানান, “বাংলার তথা ভারতের ছাত্রছাত্রীদের যদি একটু ইংরেজির ওপর দখল থাকে তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী হিসেবে নিজেকে যুক্ত করতে পারেন। আমরা গ্রেডেশনের ভিত্তিতে তাঁদের স্টাইপেন্ড দিয়ে পড়ার সুযোগ করতে পারি। কোনো স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দরকার স্থির লক্ষ্য। দেশ ছেড়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার ব্যাপারে প্রথম শর্ত নতুন দেশের আদবকায়দার সাথে মানিয়ে নেওয়া।আমরা ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ ট্রেনিং দিয়ে আমেরিকার আদব কায়দা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে তুলি।”

সম্রাট রায় চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার নিউ টাউনের এডভেন্ট এডুকেশনের সি এম ডি অভিষেক দে সরকার। এই সংস্থা বিদেশে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ ঘটিয়ে থাকে। আমেরিকার ওয়েবস্টার ইউনিভার্সিটি সম্বন্ধে সম্পুর্ণ সহায়তা দেয় এই সংস্থা।এর জন্য কোনো ফি ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় না। অভিষেকবাবু জানান, “বাজারের দালাদের খপ্পরে না পড়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার পড়ার খরচ বাবদ কষ্টের টাকা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে একশ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *