হাওড়ার ‘হোটেল মণীশ’-এ আয়োজিত হলো রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব

২৫ শে বৈশাখ সন্ধ্যায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী পালন করল হাওড়া জেলার হোটেল মণীশ। পশ্চিমবঙ্গের বুকে হোটেল মণীশ সম্ভবতঃ প্রথম হোটেল যারা প্রথমবার রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করল।

‘লাইফ অর্কেস্ট্রা কালচারাল সোসাইটি’-র উদ্যোগে ও পরিচালনায় ‘হোটেল মণীশ’-এ আয়োজিত হলো রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব।

‘লাইফ অর্কেস্ট্রা কালচারাল সোসাইটি’-র প্রধান এবং অনুষ্ঠানের পরিচালক বাদল সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর গলায় মাল্যদান করে সান্ধ্য অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে হোটেল ম্যানেজার অবিনাশ সিং জানান, “বাঙালীর স্মরণে মননে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ। প্রতি বছর আমরা রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করতে চাই।”

নাচে গানে গতরাতের অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছিল অনবদ্য। অনুষ্ঠানের শুরুতে অমিত চক্রবর্তী পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ এবং ‘চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে’, পরে বিভিন্ন সময়ে সোমা দাস পরিবেশন করেন, ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’, আদিত্য ভৌমিক পরিবেশন করেন ‘আমার পরান যাহা চায়’ এবং ‘তুমি রবে নীরবে’, নেহা পরিবেশন করেন ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ এবং আনন্দ চক্রবর্তী গেয়ে শোনান এ মণিহার আমায় নাহি সাজে’। দেবাঞ্জনা রায় পরিবেশন করেন ‘সখী ভাবনা কাহারে বলে’ ও ‘চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে’।

রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন দীপান্বিতা সাহা, সমিতা সিনহা ও ঈশিতা।

শেষে সমবেত সঙ্গীত রূপে সকল শিল্পী পরিবেশন করেন ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুজাতা ভট্টাচার্য।