বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজার শুভ সূচনা হল সহায় ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘তব জয়গানে ২৫’- অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।
সহায় ফাউন্ডেশন একটি প্রতিষ্ঠিত সমাজসেবামূলক সংস্থা, যারা সারা দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সমাজসেবার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও বিনোদনের ক্ষেত্রেও সমানভাবে দায়বদ্ধ এই সংস্থা, আগামী প্রজন্মের প্রতিভাকে গড়ে তোলা ও তুলে ধরার জন্য বরাবরই উদ্যোগ নিয়ে এসেছে।
সহায় ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১১ সেপ্টেম্বর, রবীন্দ্র সদনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘তব জয়গানে ২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। মঞ্চ থেকেই যেন এদিন হয়ে গেল দুর্গার আবাহন ও দেবী পক্ষের সূচনা। কারণ এদিন মঞ্চে পরিবেশিত হয় মহিষাসুরমর্দিনী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল শত কন্ঠে আবাহনী এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের “আমার দুর্গা”র পরিবেশনা। এরপর ছিল পুজোর গানের বৈঠকি আড্ডা। অংশগ্রহণে ছিলেন বিদুষী হৈমন্তী শুক্লা, শ্রাবণী সেন, অলোক রায়চৌধুরী, শোভন গাঙ্গুলী এবং পৌষালী। তাদের নিবেদনে ছিল রবীন্দ্র সংগীত থেকে আধুনিক, প্যারোডি থেকে স্বর্ণ যুগের গান। এরপর সৃজন মৌনিতার যৌথ উপস্থাপনায় ছিল ‘দুর্গোৎসব’। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজোর পেছনে যে জানা-অজানা কাহিনী থাকে, তার সার্থক মঞ্চায়ন হয় এই উপস্থাপনায়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে পরিবেশিত হয় মহিষাসুরমর্দিনী। সৃজনের পরিচালনায় এতে অংশগ্রহণ করেন ৩৫ জন শিল্পী। মঞ্চ জুড়ে ছিল বিশাল লাইভ অর্কেশট্রেশন। অতিথি শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন দেবাদৃত চট্টোপাধ্যায়, তৃষা পাড়ুই, দিশা রায়, অরিত্র দাশগুপ্ত, মানালি বোস প্রমুখ শিল্পীরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন সৃজন চ্যাটার্জী ও মৌনিতা চট্টোপাধ্যায়। রেডিও, টেলিভিশনের পরিধি থেকে বেরিয়ে মঞ্চে মহিষাসুরমর্দিনীর অভিনব উপস্থাপনা মুগ্ধ করে দর্শক শ্রোতাদের।
সহায় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দেবাঞ্জন দেব জানান, ‘একটা বড় প্রযোজনায় অনেক শিল্পী অনেক সেক্টর কাজ করতে পারে, তাই আমাদের পরিকল্পনায় ছিল এমন বৃহৎ আকারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। ‘তব জয় গানে ২৫’ এই অনুষ্ঠানটি যেভাবে দর্শকদের কাছে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে এর থেকে আমরা অনুপ্রেরণা পাচ্ছি আগামী দিনে আরো নানা স্বাদের অনুষ্ঠান করার’।