SRFTI তে হয়ে গেল ‘অলক্ষ্মীজ্ ইন গোয়া’ ওয়েবসিরিজের প্রিমিয়ার

২৪শে জানুয়ারী সত্যজিৎ রায় ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (SRFTI) অডিটোরিয়ামে হয়ে গেল বহু প্রতীক্ষিত ওয়েবসিরিজ ‘অলক্ষ্মীজ ইন গোয়া’ (Olokkhis in Goa) -র গ্রান্ড প্রিমিয়ার। এটি জনপ্রিয় OTT অ্যাপ ক্লিক (KLIKK) -এর পঁচিশতম ওয়েবসিরিজ। সাথে সাথে ওয়েবসিরিজটির স্ট্রিমিংও শুরু হয়েছে ক্লিক-এ।

এইদিন প্রিমিয়ার উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন ওয়েবসিরিজটির সমগ্র কলাকুশলীরা এবং অতিথি হিসাবে ছিলেন ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির একঝাঁক সেলেব্রিটি মুখ।

ওয়েবসিরিজটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন জয়দীপ বন্দোপাধ্যায়। প্রযোজনায় ‘ফিল্মস অ্যান্ড ফ্রেমস’। চার অলক্ষ্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াংকা মণ্ডল, প্রিয়াংকা ভট্টাচার্য, অনুরাধা মুখার্জি ও আভেরী সিংহ রায়। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবরাজ ভট্টাচার্য, শ্রীদীপ মুখোপাধ্যায়, সুদীপা বসু, দেবপ্রসাদ হালদার, দুর্বার শর্মা, দিলীপ ভারতী, সোমনাথ মণ্ডল ও সুস্নাত ভট্টাচার্য।

প্রিমিয়ারে একসাথে চার অলক্ষ্মীজ প্রিয়াংকা মণ্ডল, প্রিয়াংকা ভট্টাচার্য, অনুরাধা মুখার্জি ও আভেরী সিংহ রায়

‘আলক্ষ্মীজ্ ইন গোয়া’ র সংলাপ লিখেছেন সৌমিত দেব। চিত্রগ্রহণ করেছেন অঙ্কিত সেনগুপ্ত। সঙ্গীত ও আবহ করেছেন প্রাঞ্জল দাস। সম্পাদনা করেছেন কৌস্তভ সরকার। জনসংযোগ করেছেন রানা বসু ঠাকুর।

পরিচালক ও প্রযোজক সহ ক্যামেরার পিছনের কুশলীরা

‘আলক্ষ্মীজ্ ইন গোয়া’ র কাহিনীতে তিতাস, বর্ষা, হৈ আর রনিতা ছোটবেলা থেকেই বন্ধু৷ মফঃস্বলের জল হাওয়ায় বড় হয়ে ওঠা চারজন সাধারণ মেয়ে যাদের ছোটবেলা থেকে পরিবার, সমাজ, সকলে অলক্ষ্মী বলে ডেকেছে। ওদের দস্যিপনা স্কুল পেরিয়ে কলেজ এবং তারও পরে সকলের কাছেই ছিল প্রসিদ্ধ। দেশের আপামর বলিউড প্রেমীদের মত ওরাও দিল চাহতা হ্যায় দেখে ঠিক করেছিল বড় হয়ে তিতাসের ব্যাচেলারেটে গোয়া যাবে৷

ঠিক কুড়ি বছর পরে তিতাসের যখন অবশেষে বিয়ে ঠিক হয়ে যায়, তখন সবাই মিলে সেই প্ল্যানটা করেই ফেলে। বহু অপেক্ষার গোয়ার ট্রিপ। চারজন অভিন্নহৃদয় বন্ধু প্ল্যানমাফিক গোয়ায় গিয়ে পৌঁছলেও শুরু থেকেই দেখা যায় একের পর এক বিপত্তি। প্রথমেই গোয়ায় গিয়ে রনিতার স্বামী সেলিব্রিটি রাজনীতিক অর্পণের সঙ্গে ঝামেলার চোটে হোটেল ছাড়া হয়ে পড়ে ওরা। তারপর তাদের ভিলাতেই এক আচমকা মৃত্যুতে তাদের জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ বিপদ। মৃতদেহ নিয়ে কী করবে কোথায় যাবে বুঝে উঠতে পারে না। অন্যদিকে গোয়ার ফেরারী আসামী আন্ডারটেকারের খোঁজে সক্রিয় হয়ে ওঠা পুলিশও জড়িয়ে পড়ে তাদের সঙ্গে। পরতে পরতে বদলে যেতে থাকে গল্পের প্রতিটি অধ্যায়৷
শেষমেশ অলক্ষ্মীরা, অর্থাৎ তিতাস, রনিতা, হৈ এবং বর্ষা, পারবে কি এইসমস্ত সঙ্কট কাটিয়ে বেরিয়ে এসে তাদের বন্ধুত্বের রি ইউনিয়ন উদযাপন করতে? ওরা কি আদৌ ফিরতে পারবে কলকাতায়, আপনজনেদের কাছে?
ডার্ক কমেডির মোড়কে নির্মিত ‘অলক্ষ্মীজ ইন গোয়া’ য় রয়েছে এইসবেরই উত্তর।

পরিচালক জয়দীপ বন্দোপাধ্যায় জানালেন “৫ বছর আগে ভাবা একটা গল্প, ২ বছর ধরে যেটা আমি বানানোর চেষ্টা করছি, সেই সুবাদে যতদিক দিয়ে যতরকম বাধা আসতে পারে, সেই সবই এসেছে.. এবং সমস্তটা পেরিয়ে সিরিজটা অবশেষে মুক্তি পেয়ে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে। ফলে আমি আপাতত খুবই স্বস্তিতে এবং একইসাথে ভীষণ উত্তেজিত।”

“আমাদের অলক্ষীরা পর্দার সামনে এবং পেছনে একইরকম প্রভাবশালী। টলিউডের পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে অনেক কথা হয়, আমাদের সেটে কিন্তু পুরোদস্তুর মাতৃতন্ত্র চলেছে!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *