‘উৎকর্ষে আরোহন’ শারদ সম্মান: ব্যতিক্রমী পুজোর খোঁজে শুরু হল সেরা পুজো বাছাই পরিক্রমা

এবারও রাজ্যের দুর্গোৎসবের মঞ্চে শুরু হল সেরাদের বেছে নেওয়ার দৌড়। সোমবার আত্মপ্রকাশ করল রাজ্যের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুজো পুরস্কার ‘উৎকর্ষে আরোহন’ শারদ সম্মান। মোট ৫৫০টি পুজোর মধ্যে থেকে অভিনব থিম, প্রতিমার সৃজনশীলতা, আলোকসজ্জার চমক এবং সামাজিক বার্তার কার্যকারিতা এইসব মাপকাঠিকে ভিত্তি করে বিচার করা হবে শ্রেষ্ঠ পুজোগুলিকে।
এই উপলক্ষে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে কেক কেটে সেরা পুজো বাছাই পরিক্রমায় অংশ নেন বিচারকরা।
উৎকর্ষে আরোহনের ব্যানার ও ডিজাইন করা গাড়িতে করে পরিক্রমায় সেরা পুজোর বাছাই পর্বে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ভাস্কর বিমল কুন্ডু, খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, শিল্প বিশ্লেষক মধুছন্দা সেন, বিশিষ্ট পর্বতারোহী দেবাশীষ বিশ্বাস এবং সংগঠনের কর্ণধার অনুপম মজুমদার।
অন্যতম উদ্যোক্তা অনুপম মজুমদার বলেন, ৯ টি দলে ভাগ হয়ে ১৫ জন বিচারকমন্ডলী প্রতিদিন প্রায় ১৫০ টি মন্ডপ ঘুরে দেখবেন। তিনি বলেন, “শারদ উৎসব কেবল আনন্দের নয়, এটি সৃজনশীলতা ও শিল্পচর্চার এক বিরাট মঞ্চ। ‘উৎকর্ষে আরোহন’ শারদ সম্মান সেই শিল্প ভাবনাকে স্বীকৃতি ও উৎসাহ দিতেই গত কয়েক বছর ধরে সচেষ্ট।”
শিল্পী বিমল কুন্ডুর বক্তব্যে উঠে আসে দুর্গোৎসবের সামাজিক গুরুত্ব: “শিল্পকে যদি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হয় তবে দুর্গোৎসবের মতো জনমানসে প্রোথিত উৎসবের মাধ্যমে তার চেয়ে বড় সুযোগ আর হয় না।”
এই সম্মানের বিশেষ দিক হলো, শুধু বড় বাজেটের নয়, ছোট বাজেটের পুজোও সমান গুরুত্ব পায়। তাই বিচার প্রক্রিয়া যেমন স্বচ্ছ, তেমনি উৎকর্ষের স্বীকৃতি পায় প্রতিটি সৃজনশীল উদ্যোগ।

রাজ্যের দুর্গোৎসব কেবল ধর্মীয় নয়, এটি এখন এক বিরাট সামাজিক-সাংস্কৃতিক আবেগ। এমন পুরস্কার সেই আবেগকে সম্মান জানিয়ে শিল্পের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় উৎসবের সমাপ্তির আগেই। ‘উৎকর্ষে আরোহন’ শারদ সম্মান তাই শুধু পুরস্কার নয়, এটি দুর্গোৎসবের শিল্পচেতনা ও সামাজিক বার্তার মূল্যায়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি বলে মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারাও।